টব বাছাই করনঃ
- প্রথম অবস্থায় সহজে পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা এমন টবই ভাল।
- টবের উচ্চতা হবে ১০ সেঃ মিঃ এবং মুখের ঘের হবে ১৫ সেঃ মিঃ। তবে টবের আকৃতি পরিবর্তনশীল হতে পারে। উল্লেখিত আকারের টব বাজারে প্রচুর পাওয়া যায়।
- মাটির টব ব্যবহারের আগে তা ২৫- ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- তলদেশে প্রতি ১.০৫ সেঃ মিঃ ব্যাসের জন্য একটি করে ছিদ্র থাকা চাই। অন্যথায় পানি নিকাশের সমস্যা দেখা দেবে, যা গাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
- ছিদ্রগুলো টব মাটি ভর্তি করার সময় ভাঙ্গা হাড়ির টুকরা দিয়ে এমভাবে ঢেকে দিতে হবে যেন নীচে সামান্য ফাঁকা থাকে। এর উপর মাপ মত নাইলনের জাল বিছিয়ে তারপর নিয়মানুযায়ী মাটি দিয়ে টব ভর্তি করা হয়।
- প্রথম অবস্থায় টবকে দর্শনীয় করার তেমন প্রয়োজন নেই। পরবর্তীকালে নিজের পছন্দমত সুর্দৃশ্য পোড়ামাটির টব বা নকশা করা চীনামাটির টব ব্যবহার করা যায়।
বনসাইতে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করে তাকে ছোট করে রাখতে হবে। এই ছোট রাখার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গাছকে পরিচর্যা ও খাবার দাবার দিতে হবে, যাতে গাছটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্যগুলো উজ্জ্বল হয়ে উঠে। প্রথমতঃ টবের মাটি এমন হবে যাতে মাটি অনেকক্ষণ ভেজা থাকবে অথচ অতিরিক্ত জল ধরে রাখবে না। এ জাতীয় মাটি জাপানে পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে এ ধরনের মটি তৈরি করে নিতে হবে। মাটি তৈরি ও টব ভর্তির কার্যাবলী নিম্নরূপঃ
- মাটি তৈরির মালমশলাঃ আধা পোড়া মাটি ৩ ভাগ, দো-আঁশমাটি ৩ ভাগ, পাতাপচা সার বা এক বছরের পুরনো নির্ভেজাল গোবর সার ২ ভাগ, বেশ রড় দানার বালি ২ ভাগ ।
- ঐসব উপাদান ভালভাবে মিশিয়ে হালকাভাবে গুঁড়ো করে নিয়ে ২- ৪ দিন রোদে শুকাতে হবে। মাঝে মাঝে হাত দিয়ে উলট পালট করে দিতে হবে।
- ৪ মিঃ মিঃ ব্যাসের চালুনী দিয়ে ঐ মাটি ছেঁকে নিতে হবে। চালুনীর উপরে পড়ে থাকা মাটি দিয়ে টবের তলদেশ ভর্তি করতে হবে যা ভিত্তিস্তরের মাটি হিসেবে বিবেচিত।
- চালুনী থেকে বের হওয়া মাটিকে পুনরায় ৩ মিঃ মিঃ ব্যাসযুক্ত চালুনী দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এবার উপরে আটকে থাকা মাটি দিয়ে টবের মধ্যাংশ এবং চালুনী থেকে ঝড়ের পড়া মাটি দিয়ে উপরের অংশ ভরাট করতে হবে।
যে কোন প্রয়োজনে আমাকে ফেসবুকে নক কনতে পারেন।
No comments:
Post a Comment